📰 Main Current News
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
🕒 2025-06-13
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
📅 Other News
দীর্ঘ ২৪ বছর পর খুঁজে পেল পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী এক মহিলাকে, ঘটনায় চাঞ্চল্য
🕒 20255-05-15
📍 Location: Kolkata, West Bengal, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ইকফাই ইউনিভার্সিটির উদ্যোগে ৪০০-র বেশি কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা
🕒 2025-06-19
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
রেল দপ্তর অধিকৃত সম্পত্তির সঠিক অর্থ না পাওয়ায় জেলা শাসকের সামগ্রী ক্রোক করলো আদালত
🕒 2025-06-19
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
পরিবেশ রক্ষার্থে বিধান শিশু মেধা অন্বেষার গাছের চারা বিলি বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে
🕒 2025-06-19
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ভারতে অবৈধভাবে বসবাসকারী নাগরিকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে সরব তিপ্রা মথা
🕒 2025-06-15
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
প্রেমিককে হত্যা করল প্রেমিকার দ্বিতীয় প্রেমিক, অভিযুক্ত পাঁচ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ
🕒 2025-06-13
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
हनुमान जी की पूजा का दूसरा शुभ मुहूर्त आरम्भ, इस विधि से करें व्रत का पारण
🕒 2025-06-13
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
বাইখোড়া ইস্কন পরিচালিত জগন্নাথ জিউ মন্দিরে অনুষ্ঠীত জগন্নাথের স্নান যাত্রা
🕒 2025-06-13
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
গত ছয় মাসে ত্রিপুরায় অনুপ্রবেশ অনেকটাই কমেছে : মুখ্যমন্ত্রী
🕒 2025-06-13
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
অশান্তিকর পরিবেশের জন্য কংগ্রেসের উদ্যোগে গোটা রাজ্যে বিক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন কংগ্রেস
🕒 2025-06-13
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
Delhi Lieutenant Governor & CM participated in the 'Bamboo Tree Plantation' program
🕒 2025-06-09
📍 Location: Delhi, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
Narendra Modi ji has made no comments on Trump's statement : Rahul Gandhi
🕒 2025-06-09
📍 Location: Delhi, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
Maharashtra CM Devendra Fadnavis attended the mass wedding ceremony of surrendered Naxalites
🕒 2025-06-09
📍 Location: Mumbai, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
सबसे पहले मैं प्रधानमंत्री को धन्यवाद देना चाहूंगा : प्रधानमंत्री
🕒 2025-06-05
📍 Location: Agartala, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন আগরতলার রাজপথ, শহরে প্রাণকেন্দ্রে এলাকায় বর্ষা, যোগেন্দ্রনগর এলাকায় জলমগ্ন
🕒 2025-06-03
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
তিপ্রা মথা নাটক করছে বলে আখ্যায়িত করেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন
🕒 2025-06-03
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
জেলা শাসকের গেটে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ তিপ্রা মথার
🕒 2025-06-03
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
Tripura Celebrates World Turtle Day with Conservation Push at Matabari
🕒 2025-05-28
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
একই যাত্রায় পৃথক আইন নিয়ে প্রতিবাদ করলো এক যুবক, কোনও হেল দোল নেই পুলিশের
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
কৃষকের কৃষি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গোটা এলাকার বেশ কিছু পরিবারের না খেয়ে থাকার উপক্রম
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
গর্জিতে ১৭ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩৩ কিলো ভোল্ট পাওয়ার সাব স্টেশানের উদ্বোধনে মন্ত্রী রতন
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
পেট্রোল পাম্পে রক্তাক্ত কান্ড, ঘটনায় চার জনকে গ্রেপ্তার করে রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
মাতাবাড়ির মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের সংবর্ধনা ত্রিপুরায়
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
গাড়ি দিয়ে নিরীহ এক ব্যক্তিকে প্রাণে মেরে ফেলার মত চাঞ্চল্যকর অভিযোগ কল্যাণপুরে
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু হওয়া পরিবারের হাতে মুখ্যমন্ত্রীর ৮ লক্ষ টাকার চেক
🕒 2025-05-25
📍 Location: Agartala, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ভারত সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীনে সিসিআরটি-এর সাফল্য অব্যাহত ত্রিপুরার
🕒 2025-05-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
অপারেশন সিন্দুর তথা বীর যোদ্ধা সৈনিকদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন উদয়পুর প্রেস ক্লাবের
🕒 2025-05-18
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ফ্যান্টাসি টিভি নেটওয়ার্কের ১৫ তম বর্ষপূর্তি, দুইটি নিউজ পোর্টালের উদ্বোধন
🕒 2025-05-18
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মীভূত বসত বাড়ি
🕒 2025-05-18
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
বজ্রাঘাতে বেঘোরে প্রাণ গেল দুটি অবলা প্রাণীর, দুটি গরুই ছিল তার উপার্জনের একমাত্র মূল অবলম্বন!
🕒 2025-05-18
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেল এক বৃদ্ধ
🕒 2025-05-18
📍 Location: Kolkata, West Bengal, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
গাফিলতির ফলে বিধবা মহিলা ৩ বছর পারিবারিক পেনশন পাওয়ার থেকে বঞ্চিত : আইনজীবী
🕒 2025-05-16
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
পানীয় জলের সংকট, কল আছে জল নেই
🕒 2025-05-15
📍 Location: West Bengal (Kolkata)
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
পশ্চিমবঙ্গের বীরভূমের মেটেলা গ্রামের প্রাচীন ধর্মরাজ পুজো ও চড়ক মেলায় অগণিত মানুষের ভিড় এবারও
🕒 2025-05-15
📍 Location: Kolkata, West Bengal, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসবাদ, প্রতারণা এবং ধর্মান্ধতার প্রতীক প্রথম জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইকন পুরস্কার
🕒 2025-05-13
📍 Location: India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
রবী ঠাকুরের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে কবি প্রণাম - ২০২৫, উন্নয়ন ও উন্নত সমাজ গঠনে বদ্ধপরিকর বিধায়ক
🕒 2025-05-09
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে সুরক্ষা বাহিনীর বৈঠক, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি চালানোর নির্দেশ
🕒 2025-05-08
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ত্রিপুরার আটটি জেলায়ও সিভিল ডিফেন্স মক ড্রিল অনুষ্ঠিত
🕒 2025-05-07
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
গ্রামীণ অর্থনীতি কীভাবে উন্নত করা যায়? আজীবন সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ
🕒 2025-05-01
📍 Location: West Bengal (Kolkata)
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
বার্ষিক ক্রীড়া ও পুরস্কার বিতরণ বাণী বিদ্যাপীঠে
🕒 2025-05-01
📍 Location: Tripura
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ব্যাগ খুলে দেখেন গাঁজা, ৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য
🕒 2025-05-01
📍 Location: Tripura
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
দুটি দেশী বন্দুক, বুলেট এবং কিছু অস্ত্র উদ্ধার করতে সক্ষম পুলিশ
🕒 2025-05-01
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
ব্যাগ খুলে দেখেন গাঁজা, ৪৫ কেজি গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য
🕒 2025-05-01
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
FANTACY TV : News Express
🕒 2025-04-26
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
लोकसभा में सांसद राहुल गांधी ने #PahalgamTerrorAttack पर कहा, "यह एक दुखद घटना है...
🕒 2025-04-26
📍 Location: India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
পহেলগাঁও-এ পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলা, নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহরের মৌন মিছিল কংগ্রেসের
🕒 2025-04-25
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
বিশ্ব ধরিত্রি দিবস পালন ত্রিপুরা ভবনে
🕒 2025-04-22
📍 Location: Agartala, India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
Delhi CM Rekha Gupta and Singer Kailash Kher attended the event 'Ek Sham Shiv Shakti Ke Naam
🕒 2025-04-19
📍 Location: Delhi
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
LIVE
🕒 2025-04-19
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News
সংস্কৃতির সান্নিধ্যে থাকলে যুব সমাজ নেশার করাল গ্রাস থেকে মুক্ত থাকবে : মুখ্যমন্ত্রী
🕒 2025-04-18
📍 Location: Tripura , India (Test Run)
🌍 Country: India
ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ
আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য।
মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।”
তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার।
মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন।
নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।”
খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।”
#ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত
ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ
খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।”
মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।”
মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।
🎥 Watch News