ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ

🕒 2025-06-13

Main News Image

📍 Location: Tripura , India

🌍 Country: India

ত্রিপুরায় বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযানে লক্ষ্য অতিক্রম, ৩৪% অংশগ্রহণকারী নারী কৃষক : রতন লাল নাথ আগরতলা অফিস, ১৩ জুন, ২০২৫ : ত্রিপুরা রাজ্যে বিকশিত কৃষি সংকল্প অভিযান নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। রাজ্যজুড়ে ১,৯৫,২৬৩ জন কৃষকের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে এই অভিযান, যার মধ্যে ৬৬,৮৯৯ জন অর্থাৎ প্রায় ৩৪ শতাংশ ছিলেন নারী কৃষক। এটি প্রাথমিক লক্ষ্য ১.৭২ লক্ষের চেয়ে অনেক বেশি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্যের কৃষি ও কৃষক কল্যাণমন্ত্রী রতন লাল নাথ জানান, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলোর মধ্যে আসামের পরেই ত্রিপুরা এই অভিযানের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সংখ্যক কৃষকের কাছে পৌঁছেছে। এটি রাজ্যের কৃষি খাতের ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন সাফল্য। মন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্ন হল কৃষিকে আধুনিক, সৃজনশীল ও স্থিতিশীল ব্যবস্থার অধীনে এনে ভারতকে বিশ্বের শস্য ব্যাংকে পরিণত করা। কৃষির উন্নয়ন ছাড়া দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য কেন্দ্র সরকার ‘এক দেশ, এক কৃষি, এক ধারণা’ নীতিতে কাজ করছে।” তিনি জানান, ২৯ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত চলা এই অভিযানে দেশজুড়ে ২,১৭০টি কৃষি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা ও প্রায় ১৬,০০০ কৃষি বিজ্ঞানী অংশ নেন। অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির বার্তা ৭০০টি জেলার ১.৫ কোটি কৃষকের কাছে পৌঁছে দেওয়া। পাশাপাশি ১.৪৫ কোটি মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি সুরক্ষা, কৃষকের আয় বৃদ্ধি, এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণের লক্ষ্যও নির্ধারিত হয়। অভিযানটি ছয়টি মূল পরিকল্পনার উপর ভিত্তি করে শুরু হয়: কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, উৎপাদন খরচ হ্রাস, ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, ফসল বৈচিত্র্য ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণে উৎসাহ প্রদান এবং প্রাকৃতিক ও জৈব কৃষির প্রসার। মন্ত্রী নাথ জানান, রাজ্যের প্রতিটি জেলায় ৩টি করে বিশেষজ্ঞ দল গঠিত হয়, যারা প্রতিদিন ৩টি করে কৃষক সভা করেন। ফলে প্রতিটি জেলায় গড়ে ১০৮টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজ্যের ৮টি জেলায় মোট ৯৫৬টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভাগুলিতে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বৈজ্ঞানিক কৃষি, পশুপালন, মৎস্যচাষ, মৃত্তিকা স্বাস্থ্য পরীক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হয়। প্রতিটি সভায় কমপক্ষে ২০০ জন কৃষক, এফপিও, এফপিসি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্য অংশগ্রহণ করেন। নাথ জানান, “এই ১৫ দিনে কৃষি আধিকারিক ও বিজ্ঞানীরা রাজ্যজুড়ে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন এবং তাদের পরামর্শ গ্রহণ করেছেন। সেই মতামতের ভিত্তিতে রাজ্যের কৃষি ব্যবস্থার উন্নয়নের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, “দেশ ইতিমধ্যে সবুজ বিপ্লব, সাদা বিপ্লব ও নীল বিপ্লব প্রত্যক্ষ করেছে। বর্তমানে চলছে হলুদ বিপ্লব, এবং শিগগিরই শুরু হবে ‘মিষ্টি বিপ্লব’। মৌচাষের মাধ্যমে মধু উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হবে।” খরিফ মৌসুম প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “ত্রিপুরায় ২.০১ লক্ষ হেক্টর জমিতে খাদ্যশস্য উৎপন্ন হয়। এই অভিযানের ফলে বৈজ্ঞানিক কৃষি পদ্ধতি অনুসরণ করে প্রতি হেক্টরে ৫০০ কেজি করে উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব হলে, এই বছর রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদন ১ লক্ষ মেট্রিক টন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। তবেই এই অভিযানের আসল লক্ষ্য পূরণ হবে।” #ত্রিপুরার_খবর #ভাৱত ভারতের অবস্থান এখন বিশ্বে ৪র্থ, শীঘ্রই হবে ৩য় : কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ খোয়াই অফিস, ১১ জুন, ২০২৫ : কংগ্রেস শাসনকাল ছিল দুর্নীতিতে ভরা, আর মোদীজির নেতৃত্বে ভারত পেয়েছে স্বচ্ছ ও সার্বিক উন্নয়নের রূপরেখা। বুধবার ঊনাকোটি জেলায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করে কৃষি মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, “গত ১১ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সেবা, গরিব কল্যাণ ও সুশাসনের পথে এগিয়ে চলেছে। ২০৪৭ সালের মধ্যে ‘বিকসিত ভারত’-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।” মন্ত্রী নাথ ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’, ‘স্টার্টআপ ইন্ডিয়া’, ও ‘ভোকাল ফর লোকাল’-এর মত উদ্যোগগুলির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, “আমার ৫০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরকম উন্নয়নমূলক অগ্রগতি আগে দেখিনি।” তিনি কংগ্রেসের দুর্নীতিকে তুলোধোনা করে বলেন, “মোদীজির শাসন স্বচ্ছতার ওপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে—‘না খাউঙ্গা, না খানেদুঙ্গা’। আর এই কারণেই আজ দেশ দুর্নীতি হ্রাসের পথে।” মন্ত্রী জানান, মোদী সরকারের আমলে ভারত বিশ্বের ১১তম স্থান থেকে উঠে এসে এখন ৪র্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হয়ে উঠেছে। “খুব শীঘ্রই ভারত ৩য় স্থানে পৌঁছে যাবে,” বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। কৃষি ও পরিকাঠামো খাতে সরকারের সাফল্যের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজ দেশের ৮৪% মানুষ জলের সুবিধা পাচ্ছেন জল জীবন মিশনের মাধ্যমে, যেখানে আগে মাত্র ৩% পেতেন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে কৃষি বাজেট পাঁচগুণ বৃদ্ধি করা হয়েছে।” তিনি আরও জানান, PM-কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে দেশে ১১ কোটির বেশি কৃষক উপকৃত হয়েছেন, যার আর্থিক পরিমাণ ৩.৯০ লক্ষ কোটি টাকা। ত্রিপুরায় ২.৮৩ লক্ষ কৃষক এই প্রকল্পে লাভবান হয়েছেন, যাদের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ₹৮৪৩ কোটি। PM ফসল বিমা যোজনা প্রকল্পে কৃষকদের কাছে ₹১,৭৫০ কোটি পৌঁছেছে। প্রতিদিন ৩৪ কিমি জাতীয় সড়ক নির্মাণ চলছে। ১৩৬টি বন্দে ভারত ট্রেন এবং ১০৩টি অমৃত ভারত রেল স্টেশন চালু হয়েছে। তিনি জানান, ডিজিটাল ইন্ডিয়া প্রকল্পের ফলে দেশে দুর্নীতি অনেকটাই কমেছে। কৃষিক্ষেত্রে ভারত এখন দুধ, তুলা ও মসলা উৎপাদনে প্রথম, এবং ধান, মাছ, ডিম ও চিনি উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। “দেশের প্রতিটি গ্রামে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে,” বলে জানান তিনি। এই সাংবাদিক বৈঠকে মন্ত্রী নাথ বিজেপি সরকারের ‘জনকল্যাণমুখী’ শাসনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং আগামী দিনে আরও উন্নয়নের আশ্বাস দেন।

🎥 Watch News