Fantacy Tv
🕒 2025-04-26
🕒 2025-04-22
📍 Location: Tripura , India
🌍 Country: India
উদয়পুর অফিস, ৩০ মার্চ, ২০২৫ : গোমতী জেলা হাসপাতালের একদল চিকিৎসকরা আজ চিকিৎসার দক্ষতা এবং অটল নিষ্ঠার এক অসাধারণ প্রদর্শন করলেন । এক রক্তচাপ শূন্য নির্লিপ্ত নাড়ি সহ এক মৃতপ্রায় গর্ভবতী মা’কে মৃত্যুর কোল থেকে টেনে নিয়ে আসলেন। পুরু ঘটনা আজ গোমতী জেলা হাসপাতালে রোগীর আত্নীয়রা থ হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন। ঘটনা শনিবার সকাল প্রায় ৯ টা নাগাদ। ইমারজেন্সি বন্ধ এবং ওপিডি খোলার সন্ধিক্ষন। অমরপুর মহকুমা হাসপাতাল থেকে তাকে রেফার হয়ে হাসপাতালে ৩৪ বছর বয়সী অনন্ত মঞ্জুরী জামাতিয়াকে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। অনন্ত দেবীকে নিয়ে আসতেই মুহূর্তের মধ্যেই স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ অর্পণ ভট্টাচার্য হাসপাতালে ছুটে আসেন। পিছন ধাওয়া করতে করতে আসেন হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপার ডাঃ কাজল কুমার দাস। পরক্ষনই পা রাখেন অ্যানেস্থেসিস্ট ডাঃ মৌটুসী চৌধুরী। মেডিক্যাল সুপার ডাঃ কাজল কুমার দাস জানান, আমরা যখন অনন্ত দেবীকে দেখি তখন তিনি খুব জীবন সংকটে ছিলেন। সজ্ঞানে তো ছিলেনই না। কিন্তু গোমতী জেলা হাসপাতালের একদল চিকিৎসক ও নার্সিং অফিসার, ও টি এসি দের সহায়তায়, অমরপুরের গোমাকো এলাকার গর্জনখলার বাসিন্দা ৩৪ বছর বয়সী গর্ভবতী মা অনন্ত মঞ্জুরী জামাতিয়াকে মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরিয়ে এনেছেন। চিকিৎসা পরিভাষায়, এটি ছিল মাতৃত্বকালীন প্রায় মৃত্যুর ঘটনা, যেখানে মায়ের জীবন প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু চিকিৎসা দলের সাহসী হস্তক্ষেপের কারণে তিনি বেঁচে যান। ডাঃ কাজল কুমার দাস জানান, অমরপুর এসডিএইচ থেকে রেফার করা অনন্ত মঞ্জুরী জামাতিয়াকে গুরুতর সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর অবস্থা ছিল অত্যন্ত শোচনীয়: তাঁর রক্তচাপ প্রায় ধরা যাচ্ছিল না, নাড়ি একেবারে নেই বললেই চলে । সেই সময় গর্ভের শিশুটি ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত জরায়ুর বাইরে, পেটের গহ্বরে প্রসব হয়ে গিয়েছিল, এবং ট্রান্সভার্স লাই পজিশনে ছিল। এটি একটি জটিল অবস্থা যেখানে শিশু মায়ের গর্ভে অনুভূমিকভাবে থাকে। এই জীবন-সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপের প্রয়োজন ছিলো এবং আমরা তা করেছি। ডাঃ কাজল কুমার দাস, ডাঃ অর্পণ ভট্টাচার্য এবং ডাঃ মৌটুসী চৌধুরী, এবং নিবেদিত নার্সিং অফিসারদের একটি দল, যার মধ্যে ছিলেন কুসুম চক্রবর্তী, রেখা দাস, সুমনা বরাজ, বাদল মজুমদার, ওটি সহকারী বিক্রম দাস, লিটন দাস, তৎক্ষণাৎ কাজে নেমে পড়েন। অনন্ত মঞ্জুরীকে স্থিতিশীল করাই ছিল প্রথম অগ্রাধিকার। তাঁর রক্তচাপ এবং নাড়ি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জরুরি পুনরুজ্জীবন এবং ভলিউম এক্সপেন্ডার প্রয়োগ করা হয়। অস্ত্রোপচারের আগে তাঁকে হিমোডাইনামিকভাবে স্থিতিশীল করার জন্য দল সতর্কতার সাথে কাজ করে। জরুরি রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে, তাঁর কমে যাওয়া রক্তের পরিমাণ পূরণ করার জন্য ৩ (তিন) ইউনিট রক্ত দেওয়া হয়। তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ার সাথে সাথে, চিকিৎসক দল দ্রুত তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যায়। পরিবেশ ছিল উত্তেজনাপূর্ণ, কিন্তু ডাক্তার এবং নার্সরা তাঁদের সম্মিলিত দক্ষতা এবং দৃঢ় সংকল্প নিয়ে মনোনিবেশিত ছিলেন। ডাঃ ভট্টাচার্য আরও জানান, জরায়ু মারাত্মকভাবে ফেটে যাওয়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেটি অপসারণ করতে হয়েছিল।
🎥 Watch News